ভারত ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নোট বন্দির পর থেকে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম এর সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে।
এরপরে করোনার প্রভাব এ লকডাউন চলাকালীন ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম কে ব্যবহার করেছেন। বর্তমান সময়ে এমন কয়েকটি অ্যাপ রয়েছে যার মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে নতুন বছরে এইসব অ্যাপগুলি দিয়ে পেমেন্ট করলে সেটা অনেক বেশি টাকা লাগতে পারে।
অর্থাৎ একই জানুয়ারি থেকে পুরো বিশ্বে পিউরিফাইড ইউপিআই এর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের ট্রানজেকশন করতে হলে কোম্পানিকে এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে।
নেশনাল পেমেন্ট করপরেশন অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ এন পি সি আই একেই জানুয়ারি থেকে ইউপিআই সার্ভিস গুলিতে এক্সট্রা চার্জ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এন পি সি আই নতুন বছরের শুরু থেকে পুরো বিশ্বে third-party অ্যাপ গুলির মধ্যে 30% এর ক্যাপ লাগিয়ে দিয়েছে।
এন পি সি আই এই রকম সিদ্ধান্ত কোন অ্যাপ এর মনোপলি কে বাধা দেওয়ার জন্য আর সাইজের দিক থেকে পাওয়া সমস্ত রকম সুবিধা গুলি বন্ধ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত সরাসরি সাধারণ মানুষের ওপর ও ওইসব third-party অ্যাপ গুলোর মধ্যে হবে। যেই অ্যাপ গুলি প্রত্যেকদিন মানুষেরা ব্যবহার করে থাকে।
1 জানুয়ারি থেকে ফোন পে, গুগোল পে ও অ্যামাজন পে, এইরকম অ্যাপ গুলোর মধ্যে পেমেন্ট করলে। ইউজারদের এক্সট্রা ভাবে চার্জ দিতে হবে। সাথেই পেটিএম দিয়ে এন পি সি আই এর ক্যাপ এর মধ্যে দিয়ে পেমেন্ট সার্ভিস এ এক্সট্রা চার্জ লাগানো হয়নি।
অনলাইন ট্রানজেকশন বাড়তে দেখে পিএম মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মহিম বেড়ে যাচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে রিপোর্ট এর কথা জানলে অর্থাৎ প্রত্যেক মাসে 200 ক্রোর টাকা ইউপিআই এর মাধ্যমে লেনদেন করা হয়।
এই ইউপিআই লেনদেন আলাদা আলাদা পেমেন্ট অ্যাপ থেকে হয়ে থাকে। সরকারের মতে সামনের দিনগুলিতে লেনদেন করার ইউপিআই ট্রানজেকশন গুলি আরো বাড়বে। ইউপিআই লেনদেন বারা অর্থাৎ ডিজিটাল ইন্ডিয়ার লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপান্তর করা।
কিন্তু ইউপিআই লেনদেনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি থার্ড পার্টি অ্যাপের অধিকার এটা মানা হচ্ছে। যেটা এই লক্ষ্যে ঠিক না। সরকারি এক্সট্রা চার্জ সেটা কে থামানোর জন্যই এই রকম পরিকল্পনা করছে।
0 Comments